এখন ক্ষমতায় বসে হালুয়া রুটি খাওয়ার সময় নয়, প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যর

48

জাহিদুল খান সৌরভ : চলমান আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ঘনঘটায় জাতিকে জাকের পার্টির পতাকাতলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে শেরপুর সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আবির্ভাব মঞ্জিলে চারদিনব্যাপী বিশ্ব ইসলামী সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান।

তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ঘনঘটা, পশ্চিমা শক্তি বনাম রাশিয়া, এশিয়ার চীনসহ নানা মেরুকরণের বাস্তবতায় উপমহাদেশে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, এখন বিলাসিতার সময় নয়। ক্ষমতায় গিয়ে হালুয়া রুটি খাওয়ার সময় নয়। এখন সময় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার। আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতেই হবে।

তিনি বলেন, কে ক্ষমতায় থাকলো আর কে ক্ষমতায় থাকলো না তা এখন বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হচ্ছে আমাদের অস্তিত্ব এবং আমাদের ভবিষ্যৎ। সে আলোকে সৃষ্ট সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ উৎরানোতে জাকের পার্টির নেতৃত্বেই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে বলে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেন জাকের পার্টি চেয়ারম্যান।

বিশ্ব ইসলামী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল।

উল্লেখ্য, পবিত্র উরস শরীফকে ঘিরে বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরীর জন্মভূমি শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া আর্বিভাব মঞ্জিল দরবার শরীফে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লাখ লাখ জাকেরান ও আশেকানের ঢল নামে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং জাকের পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীসহ জাকের পার্টি ওলামাবৃন্দ জুমার নামাজ আদায় করেন। এর মধ্য দিয়েই চারদিন ব্যাপী উরস শরীফের শুরু হয় এবং ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে উরস শরীফ শেষ হয়।

উরসকে কেন্দ্র করে গোটা শেরপুর জেলায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। উৎসবের আমেজে ছিলো পাকুড়িয়া ইউনিয়ন ও আশ-পাশের সব এলাকায়। জেলা ও বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ শিশু-কিশোর ও জাকের পাকুড়িয়া আর্বিভাব মঞ্জিল দরবার শরীফে সমবেত হয়। নানা আয়োজন ঘুরে ফিরে দেখছেন। সে সাথে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম মিলন-মেলার সুবিশাল আয়োজনে সর্বস্তরের পাকুড়িয়া এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেশ-বিদেশে অনুরাগী ও অনুসারীদের মাঝে ব্যতিক্রমী শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সঞ্চার করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
sadi