জিএইচ হান্নান : শেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার জেলা শহরের শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সকাল থেকেই শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সম্মেলনের বিশাল প্যান্ডেলে সমবেত হয়। পরে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব এ.কে.এম নুরুল আমীন ছানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের আসন গ্রহণ শেষে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে, গরীব ও অসহায় মানুষ করোনার প্রথম ধাপে শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ২৫শ টাকা এবং খাদ্যসামগ্রী পেয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই প্রদান, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার টাকা মোবাইল বিকাশের মাধ্যমে পাচ্ছেন এবং এটা প্রবর্তন করেছে শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে দেশে অপটিক্যাল ফাইবার সুবিধা নেয় নাই। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোজন করায় আজ বেগম খালেদা জিয়া তার ছেলে তারেক রহমানের সাথে স্কাইপি সেবার মাধ্যমে কথা বলতে পারছেন। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেলসহ ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল। তাই এক কথায় বলতে হয় শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম ফজলুল হক চাঁন, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব একেএম ফখরুল মজিদ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর রুমান।
এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
