শেরপুরে মাসুদা নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে শেরপুর সদর উপজেলার ধোবারচর কামারপাড়া গ্রামে নিজ পিতা তহুর আলীর বাড়ীর পার্শ্ব থেকে মাসুদা (২২) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ধারণা করছে মাসুদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার জন্য মাসুদার স্বামীকে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ।
শেরপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, বছরখানেক আগে মাসুদার সাথে পার্শ্ববর্তী ছনকান্দা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মোজাম্মেলের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামীস্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল। মাসুদার স্বজনদের মতে, বিয়ের পর থেকেই মাসুদার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতো মোজাম্মেল। এনিয়ে প্রায়ই ঝগড়া ও মারপিটের ঘটনাও ঘটতো। এভাবে নির্যাতন সইতে না পেরে গত ৬ মাস আগে বাপের বাড়ী চলে আসে মাসুদা। মাসুদাকে পরবর্তীতে নিজের বাড়ীতে নিয়ে যাবার বেশ কবার চেষ্টা করে মোজাম্মেল। কিন্তু মাসুদা রাজী না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
রবিবার রাতে শ্বশুরবাড়ীতে আসে মোজাম্মেল এবং মাসুদার সাথে কথা বলার জন্য তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই মাসুদার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
সোমবার সকালে বাড়ীর কিছু দূরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে মাসুদার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পুলিশ পরিবার সূত্রে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।’
এদিকে পুলিশী সুরতহালে লাশের গলার চিহ্ন থেকে ধারণা করা হচ্ছে মাসুদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
উক্ত পরিদর্শক জানিয়েছেন হত্যার ব্যাপারে তারা প্রাথমিক ভাবে স্বামীকেই সন্দেহের তালিকায় রাখছেন। ঘটনার পর থেকে মাসুদার স্বামী পলাতক রয়েছে।