শেরপুরে চোরাই সেচ পাম্পসহ কুখ্যাত মাদক সম্রাট জুয়েল গ্রেফতার

181

জিএইচ হান্নান: শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণই মমিনাকান্দা গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (২৫) কুখ্যাত মাদক সম্রাটই নয়। সে একাধারে ছিনতাই, রাহাজানি এবং চুরি করা, কোনটাই বাদ দেয়নি। অবশেষে সেচ পাম্প চুরি করার পর তার বশতঘর থেকে ১৫ মার্চ বুধবার ভোর রাতে সদর থানার পুলিশ চুরি হওয়া ৬টি সেচ পাম্পের মধ্যে ২টি সেচ পাম্প উদ্ধার করেছে। এছাড়াও জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি মাদক মামলাসহ ৯টি মামলা রয়েছে।

মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের চক আন্ধারিয়া গ্রামের একটি মৎস্য খামার থেকে গত ১২ মার্চ রাতে একটি দেড় ঘোড়া সেচ পাম্প চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোর দল। পরদিন ১৩ মার্চ আরো ৫টি সেচ পাম্প চুরি হয়। এনিয়ে এক দিনের ব্যবধানে ৬টি সেচ পাম্প চুরি হওয়ায় এলাকার কৃষক আতংকিত হয়ে পড়ে। এঘটনায় ওই এলাকার কৃষক সেলিম মিয়া শেরপুর সদর থানায় অজ্ঞাত চোরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ সেচ পাম্প উদ্ধার এবং সংঘবদ্ধ চোর দল আটকের জন্য মাঠে নেমে পড়ে।

এঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল সঙ্গীয় ফোর্সসহ বুধবার ভোর রাতে সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণই মমিনাকান্দা গ্রামের চান্দু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় কুখ্যাত মাদক সম্রাট মো. জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া এক স্বীকারোক্তিতে জুয়েল মিয়ার বশত ঘর থেকে চুরি করা ২টি সেচ পাম্প উদ্ধার করা হয়। পুলিশ চুরি হওয়া বাকী ৪টি সেচ পাম্প উদ্ধার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

জেলা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কুখ্যাত মাদক সম্রাট ও সেচ পাম্প চোর মো. জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় ৮টি মামলা এবং বগুড়া জেলার শীবগঞ্জ থানায় একটি মামলাসহ ৯টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে শেরপুর জেলা কারাগরে প্রেরণ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
sadi