জিএইচ হান্নান: শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের তিনআনী মোড়ে শেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ ১৫ মার্চ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে ডলার প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
ধৃত ডলার প্রতারক দলের সদস্যরা হলো- জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার নতুন শালমারা গ্রামের বাসিন্দা মৃত শমেজ উদ্দিনের ছেলে মো. মামুদ আলী (৩৮) ও একই গ্রামের মৃত তৈমুজ মন্ডলের ছেলে মো. বাদশা মন্ডল (৩৪)।
জানা গেছে, শেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই আঃ রহিম আলতার হোসেন, মো. চাঁন মিয়া, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাবুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ বুধবার শ্রীবরদী উপজেলায় বিশেষ অভিযানকালে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভেলুয়া ইউনিয়নের তিনআনী মোড়ে পৌছামাত্র একটি জামালপুর-হ-১১-৩৭৯৩নং বাজাজ ১০০ সিসি প্লাটিনা মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী মামুদ ও বাদশা মন্ডলকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় তাদের একটি কালো ব্যাগে রক্ষিত ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখতে পেয়ে এক জিজ্ঞাসাবাদে কোন সদুওর দিতে না পারায় আরো সন্দেহ ঘনিভূত হয়। পরে ডিবি পুলিশ তাদের ব্যবহৃত ফোন জব্দ করে জানতে পারে এবং নিশ্চিত হয় মামুদ ও বাদশা মন্ডল সংঘবদ্ধ ডলার প্রতারক চক্র দলের সদস্য।
এব্যাপারে ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাইমুড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত কামল আহমেদ এর ছেলে মো. সোলাইমান (৩৪) কে ডলার প্রতারক চক্রের মামুদ ও বাদশা মন্ডল কয়েকটি ডলার দেখিয়ে বলেন যে, তারা ডলার সংকট মুহুর্তের আগে কম দামে ১৫ হাজার ডলার কিনে রেখেছিল এবং এখন সেই ডলার ১০ লাখ টাকার বিক্রয় করবে। এতে সোলাইমান গত কয়েকদিন আগে শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়াচর বাজারে ওই ডলার ক্রয়ের জন্য ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করেছিল। এঘটনায় ১৬ মার্চ মামুদ ও বাদশা মন্ডলের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় ৪০৬/৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন প্রতারকের শিকার সোলাইমান। যার মামলা নং-১১। পরে মামলার তদন্তকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃত মামুদ আলী ও বাদশা মন্ডলকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করে আসামীদের শেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
